দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পিআইএল)। ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব ড. আহমদ কায়কাউসের নিকট শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আবদুল হালিম চেকটি হস্তান্তর করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান জনাব মো. রইছ উদ্দিন ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ তৌহিদুজ্জামান।
উল্লেখ্য যে, ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জেনারেল মোটরস্ ওভারসীজ ডিষ্ট্রিবিউটরস্ করপোরেশন-এর কারিগরী সহযোগিতায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অদুরে সীতাকুন্ড উপজেলাধীন বাড়বকুন্ডে ২৪.৭৫ একর জমিতে ‘গান্ধারা ইন্ডাষ্ট্রিজ’ নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছিল। ঐ সময়ের প্রযুক্তি সুবিধা সম্বলিত উৎপাদন লাইন, সিকেডি, বডিসপ, পেইন্টসপ, ফেব্রিকেশন, মেশিনসপ, মাননিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দ্বারা সজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রথম এবং একমাত্র গাড়ী সংযোজনকারী কারখানা। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ইংলান্ডে বেডফোর্ড কোম্পানী হতে বাস, মিনিবাস, ট্রাক্টর, মিনি ট্রাক, কার ইত্যাদি গাড়ীর সিকেডি আমদানীপূর্বক সংযোজনের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে।
স্বাধীনতা পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে “প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রজি লি.” নামে জাতীয়করণ করা হয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) এর নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে গাড়ী সংযোজনকারী একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান।
স্বাধীনতার ঊষালগ্নে যুদ্ধবিধ্বস্থ একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ও বিধ্বস্থ পরিবহণ সেক্টরে প্রগতিই পরিবহণ সমস্যা সমাধানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতাত্তরকালে প্রথম ০৩(তিন) বছর স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রগতি অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে ৪৬৫০ টি গাড়ী সংযোজন পূর্বক সরবরাহ করে দেশের সড়ক পরিবহণখাতে যুগান্তকারী অবদান রাখে। ঐ সময়ে প্রগতির সংযোজিত গাড়ীর মধ্যে কমার্শিয়াল ৯২.৬% এবং প্যাসেঞ্জার কার ৬.৪% বাজারজাত করে চাহিদা পুরণ করতে সক্ষম হয়।